বহনযোগ্যতা: ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর বহনযোগ্যতা। যেকোন জায়গা নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট আকৃতির হালকা ওজনের ল্যাপটপ কেনাই ভালো। নিয়মিত বহনের জন্য ১১ থেকে ১৪ ইঞ্চির স্ক্রিন বিশিষ্ট ল্যাপটপগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডেল-এক্সপিএস-১৩ মডেলটি হতে পারে আদর্শ। ল্যাপটপ একেবারেই বহনের দরকার না থাকলে ১৭ ইঞ্চি স্ক্রিন কেনা যেতে পারে।
রেজ্যুলেশন: ভালো রেজ্যুলেশন বিশিষ্ট ল্যাপটপকেই সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ‘১৯২০×১০৮০’ রেজ্যুলেশন বিশিষ্ট ল্যাপটপ বেছে নিন। ভালো রেজ্যুলেশন মাল্টি টাস্কিংয়ের সুবিধা বাড়ায়। তাছাড়া ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, গেমিংসহ বিভিন্ন ভারী কাজেও অধিক সুবিধা দেয়।
ব্যাটারি: কমপক্ষে আট ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এমন ল্যাপটপ বেছে নিতে চেষ্টা করুন। কিছু কিছু ল্যাপটপ আট ঘণ্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। আসুস জেনবুক-UX330UA মডেলটি নয় ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।
ক্রোমবুক, নাকি উইন্ডোজ-ম্যাক: বাজারে কিছু কিছু ল্যাপটপ বের হয়েছে যা গুগল ক্রম অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এগুলো চালানো খুবই সহজ। তাই স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ক্রমবুক অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজারে মান ও বাজেট বিবেচনা করলে আসুসের ক্রমবুক ফ্লিপ-C302CA মডেলটি বেশ ভালো। তবে পেশাদারী কাজের জন্য ক্রমবুক উপযুক্ত নয়। এক্ষেত্রে উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমচালিত ল্যাপটপই বেছে নেয়া উচিত।
বাজেট ও টাচস্ক্রিন: বর্তমানে বাজারে কিছু ল্যাপটপ আছে যা একই সঙ্গে পুরনো মডেলের ল্যাপটপগুলোর মতো হলেও এগুলো ট্যাবলেট মোডেও রূপান্তর করা যায়। লেনোভো ইয়োগা-৯২০ এরকমই একটি ল্যাপটপ। এসব টাচ প্রযুক্তির ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ও সুবিধা উভয়ই বাড়াবে।
কনফিগারেশন: প্রোসেসর, র্যাম, এসএসডি ইত্যাদি নির্বাচন করবেন আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে। প্রোসেসর কোর আই ফাইভ, র্যাম- ৮জিবি, এসএসডি- ২৫৬জিবির ল্যাপটপ হতে পারে একটি যুগোপযোগী পছন্দ। হার্ডডিস্কের বদলে এসএসডি (সলিড-স্টেড ড্রাইভ) বেছে নেওয়াই ভালো।
0 comments:
Post a Comment