NNS : ১২ই জানুয়ারী অর্থাৎ আজকের দিনটা কেন বিশেষ জিজ্ঞাসা করলে শতকরা নিরানব্বই ভাগ ভারতীয় উত্তর দেবেন বিবেকানন্দের জন্মদিন ৷ কিন্তু বিশ্বাস করুন দু'একজন এমনও আছেন যাদের কাছে আজকের দিনটা অন্য কারণে বিশেষ ৷
আজ মাস্টারদা সূর্য সেনের মৃত্যু দিন৷ আজ তাকে ফাঁসি দিয়েছিলো তৎকালীন বৃটিশ সরকার ৷ বলা ভুল হলো বোধহয়, তাকে নয় তার মৃতদেহ কে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো আজ ৷ মৃত্যু তার আগেই হয়েছিলো জেলের ভিতর অকথ্য অত্যাচারে ৷ শুধু লোক দেখানো ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো তার প্রাণহীন দেহকে ৷ অনেকে অবশ্য বলেন তাকে অচেতন অবস্থায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো ৷
মৃত্যুর আগে কি করা হয়েছিলো তার সাথে ? পিটিয়ে শরীরের সমস্ত হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো ৷ ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো তার সব কটা দাঁত ৷ উপড়ে ফেলা হয়েছিলো হাত ও পা এর সমস্ত নখ ৷ তৎকালীন বৃটিশ সরকার এমনই বর্বর আচরণ করেছিলো তাঁর সাথে ৷ এমন কি মৃত্যুর পর তার দেহ তুলে দেওয়া হয়নি পরিজনদের হাতে৷ ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিলো সমুদ্রের বুকে, ঠিক যেভাবে আমরা ছুঁড়ে ফেলি কোনো আবর্জনা কে ডাস্টবিনে, তেমনভাবে ৷
চট্টগ্রাম সশস্ত্র বিপ্লবের এই নেতা যিনি আজীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন ভারতের, যিনি প্রাণের মায়া না করে যুদ্ধ চালিয়েছিলেন অপরাজেয় বৃটিশদের সাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ৷ যিনি সাধারণ একজন স্কুল শিক্ষক হয়ে দেশ এর জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন অগণিত ছাত্রদের, তিনি কোনোদিনই ধরা পড়তেন না হয়তো ! কিন্তু সবই অদৃষ্ট ! অর্থ, পুরস্কার, উপাধি এসবের লোভে তার বিশ্বাসভাজন অনুচর নেত্র সেন বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ৷
সেই নেত্র সেন এর অবশ্য বেশীদিন আর ধরাধামে থাকা সম্ভব হয়নি এবং অর্থ, পুরস্কার কিছুই পাওয়া সম্ভব হয়নি কারণ মাস্টারদার অনুগামী এক বিপ্লবী যার নাম আজও আমরা জানিনা তাঁর দ্বারা নেত্র সেন খুন হয় কিছুদিন পরেই ৷ সেই বিপ্লবীর নাম জানতেন একমাত্র নেত্র সেন এর স্ত্রী, যিনি কোনোদিন সেই নাম প্রকাশ করেননি, কেন জানেন! কারণ তিনি মাস্টারদার আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন ৷ বিশ্বাস করতেন দেশ প্রেমের কাছে বাকি সব তুচ্ছ ৷
আসুন বিবেকানন্দের জন্মদিনের আনন্দ তো অনেক হলো, আমরা নাহয় খানিকক্ষণ মৌন থাকি বিষাদে , মাস্টারদার কথা ভেবে ৷
আজ মাস্টারদা সূর্য সেনের মৃত্যু দিন৷ আজ তাকে ফাঁসি দিয়েছিলো তৎকালীন বৃটিশ সরকার ৷ বলা ভুল হলো বোধহয়, তাকে নয় তার মৃতদেহ কে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো আজ ৷ মৃত্যু তার আগেই হয়েছিলো জেলের ভিতর অকথ্য অত্যাচারে ৷ শুধু লোক দেখানো ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো তার প্রাণহীন দেহকে ৷ অনেকে অবশ্য বলেন তাকে অচেতন অবস্থায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো ৷
মৃত্যুর আগে কি করা হয়েছিলো তার সাথে ? পিটিয়ে শরীরের সমস্ত হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো ৷ ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো তার সব কটা দাঁত ৷ উপড়ে ফেলা হয়েছিলো হাত ও পা এর সমস্ত নখ ৷ তৎকালীন বৃটিশ সরকার এমনই বর্বর আচরণ করেছিলো তাঁর সাথে ৷ এমন কি মৃত্যুর পর তার দেহ তুলে দেওয়া হয়নি পরিজনদের হাতে৷ ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিলো সমুদ্রের বুকে, ঠিক যেভাবে আমরা ছুঁড়ে ফেলি কোনো আবর্জনা কে ডাস্টবিনে, তেমনভাবে ৷
চট্টগ্রাম সশস্ত্র বিপ্লবের এই নেতা যিনি আজীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন ভারতের, যিনি প্রাণের মায়া না করে যুদ্ধ চালিয়েছিলেন অপরাজেয় বৃটিশদের সাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ৷ যিনি সাধারণ একজন স্কুল শিক্ষক হয়ে দেশ এর জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন অগণিত ছাত্রদের, তিনি কোনোদিনই ধরা পড়তেন না হয়তো ! কিন্তু সবই অদৃষ্ট ! অর্থ, পুরস্কার, উপাধি এসবের লোভে তার বিশ্বাসভাজন অনুচর নেত্র সেন বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ৷
সেই নেত্র সেন এর অবশ্য বেশীদিন আর ধরাধামে থাকা সম্ভব হয়নি এবং অর্থ, পুরস্কার কিছুই পাওয়া সম্ভব হয়নি কারণ মাস্টারদার অনুগামী এক বিপ্লবী যার নাম আজও আমরা জানিনা তাঁর দ্বারা নেত্র সেন খুন হয় কিছুদিন পরেই ৷ সেই বিপ্লবীর নাম জানতেন একমাত্র নেত্র সেন এর স্ত্রী, যিনি কোনোদিন সেই নাম প্রকাশ করেননি, কেন জানেন! কারণ তিনি মাস্টারদার আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন ৷ বিশ্বাস করতেন দেশ প্রেমের কাছে বাকি সব তুচ্ছ ৷
আসুন বিবেকানন্দের জন্মদিনের আনন্দ তো অনেক হলো, আমরা নাহয় খানিকক্ষণ মৌন থাকি বিষাদে , মাস্টারদার কথা ভেবে ৷
0 comments:
Post a Comment