নরেশ জৈন :শুধু মাত্র গালিগালজ করার কারণে একটি যুবককে তারই বন্ধুর হাতে প্রাণ দিতে হলো, তাহলে কি একটা কথা পরিষ্কার হয় , আমাদের যুবকদের মধ্যে সহনশীলতা হারিয়ে যাচ্ছে আর না হলে বাবা মায়েরা ঠিক জানেন না,তাদের সন্তান মানুষ হচ্ছে না দস্যু হচ্ছে? নবমীর রাত্রের সেই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবাই কে দেখিয়ে দেয় আমাদের সভ্যতার আড়ালে অসভ্যতার ও বর্বরতার এক ছোট্ট কাহিনী ও আমাদের ভূমিকা ,যাইহোক যে বচসা শুরু হয়, সেটা শেষ হয় স্নেহাশিসের মৃত্যু দিয়ে -তার পর অপরাধী বন্ধুর বাবা-মাও যুক্ত হয়েছিলেন সেই জঘন্য অপরাধে, রেল লাইনে তার মরা দেহ ফেলে দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চলে আত্মহত্যার রূপ দেয়ার- কিন্তু মৃত স্নেহাশিসের বাবা মা কেস করার পর পুলিশি সহযোগিতায় খুনিরা পড়ল ধরা..
আস্তে আস্তে জানা গেলো যে তাকে হত্যা করা হয়েছে- ৯৬ দিনের পর GRP গঠন করলো চার্জশিট - কিন্তু একটা জিনিস এখনো পরিষ্কার হলো না, যদি এই ছেলেটি একা থাকতো অথবা যদি নিকটস্থ কোনো আত্মীয় না থাকতো তাহলে ওর হয়ে কে কেস করতো বা সত্য উৎঘাটন এর জন্য কে লড়তো ? সেই রাত্তিরে পাড়ার লোকে এগিয়ে আসেনি ভয়ে? যা খুবই স্বাভাবিক বিষয় হলেও সেটা একটা বিবেকহীন ও মানুষত্বহীনতার পরিচয়ও বটে, এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শ্রীরামপুরবাসীরা ভয়ে ভীত? তবে কিসের ভয়? আর সাধারণ মানুষের ভূমিকাটা বা কি? স্থানীয় ক্লাবের গুলিরও ভূমিকা কি? জননেতা লোকাল চেয়ারম্যান এর ভূমিকা কি? ওয়ার্ড এর কাউন্সিলরের এর ভূমিকা টাই কি? হিউমান রাইটস তবে কিসের জন্য?
সেই রাত্রে ভয়ে কেউই এগিয়ে আসেননি, কিন্তু খুন হবার তিন মাস পরে কারা কারা এগিয়ে এলেন? কেউ নয়, নেতারা বাইটে নিয়ে চলে গেলেন, পোর্ট ট্রাস্ট তাদের গা দিয়ে ধুলার মতন স্নেহাশিসের দায়িত্বকে ঝেড়ে ফেললো, "SAI" ও সরে গেলো, সবাই চুপ করে গেলো.,এখনও কিন্তু কিছু জানা অজানা থেকেই গেছে যেমন যারা রাত্তিরে আসেনি, তারা যেমন খুনিদের সাথ দিয়েছে,আবার যারা দিনের আলোয় এলেন না তারাও কি কম খুনি? কে, কি ভাবে এই মায়ের পাশে দাঁড়াবে, কেউ জানে না, কেউ প্রশ্ন না করলে কি এর উত্তর পাওয়া যাবে?
0 comments:
Post a Comment