স্নেহাশিষ মুখার্জি :
দেশের বিভিন্ন অংশে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আর এস এসের শাখা সংগঠন ও আদর্শগত প্রভাব বাড়ছে | একইভাবে কেরালা , ত্রিপুরার মত চিহ্নিত লালদুর্গে ঘাঁটি গাড়ছে আর এস এস | এমনকি একদা লাল দূর্গ হিসাবে পরিচিত ও বর্তমানে তৃনমূল কংগ্ৰেসের প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেও হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রচার করে বাড়ছে সংঘ পরিবার | এই সময় সারা দেশে লাল দূর্গ বলতে বোঝায় ত্রিপুরা এবং কেরল কে | তার মধ্যে কেরালায় বামেদের বিশেষ করে সি পি এমের বেশ বড় ধরনের ঘাঁটি |
ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে কমিউনিস্টরা ই এম এস নাম্ব্ররুদ্রিপাদের নেতৃত্বে প্রথম সরকার গঠন করে | আজ থেকে ৬১ বছর আগে | সেই বাম প্রভাবিত রাজ্য কেরালায় প্রতিদিন আর এসএসের সংখ্যা বাড়ছে | ইতিমধ্যে দক্ষিণ প্রান্তের এই ক্ষুদ্র রাজ্যে আরএসএসের শাখার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে | সেদিক থেকে বিচার করলে গুজরাটে এখন শাখার সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি | আর সেখানে কেরালার মত লাল দূর্গে যেভাবে আরএসএস ঘাঁটি গাড়ছে অবশ্যই সিপিএমএর ওপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল |
আরএসএসের শাখা বাড়লেও এখন কেরালার রাজনিতী কমিউনিস্ট ও কংগ্ৰেসের মধ্যে সমীকরণে চলছে | তবে আরএসএসের সাহায্যে বিজেপি কেরালায় তৃতীয় শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে | একই সঙ্গে ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমএর বিকল্প শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে বিজেপি | তাই ত্রিপুরা জুড়ে সংঘ পরিবার দ্রুত সংগঠন গড়ে তুলতে চাইছে | এদিকে আরএসএসের অখিল ভারতীয় শাখার প্রচার প্রমুখ নন্দকুমার জানিয়েছেন যে -' বামেরা দ্রুত মাটি হারাচ্ছে কেরালায় | আগের তুলনায় আরএসএসে যোগদানের হারও বেড়েছে | আমাদের কর্মিরা ওখানে বেশি আক্ৰান্ত হন | ঐ রাজ্যে শাখার সংখ্যা বাড়ার এটিও একটা অন্যতম কারণ | জানা গিয়েছে গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র এই রাজ্যেই আরএসএসের শাখার সংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশী | আর এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে |
নরেন্দ্রমোদি প্রধাণমন্ত্রী হবার অনেক আগে ২০১০ - ১১ সাল থেকেই আরএসএসের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে কেরালায় | যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য | ' স্বাভাবিক ভাবে সিপিএমএর শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আরএসএস বিজেপি সম্পর্কে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে |
0 comments:
Post a Comment