স্নেহাশিষ মুখার্জী :
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলীয় নেতাদের পূর্ব ও উত্তরপূর্ব নির্বাচনকে ভারতে তৃনমূল কংগ্ৰেসের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রভাব বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন | ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে জোরালো ধাক্কা খাওয়া ও ত্রিপুরায় অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ছাড়তে নারাজ |
তাই তিনি সিকিম , আসাম , ঝারখন্ডের মত রাজ্যে তৃনমূলের গনভিত্তিক ও দলীয় সংগঠনকে জোরদার করতে চান | এই কারণে মমতার আস্থাভাজন তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম , রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেবকে আসামে পাঠানো হয় | আসামে এন আর সি নিয়ে যখন সেখানকার বাংলাভাষীরা গভীর সংকটে রয়েছেন , সেই সময় তিন মন্ত্রি ফিরহাদ হাকিম , রবীন্দ্রনাথ ঘোষ , ও গৌতমদেব গৌহাটিতে এসে বিভিন্ন বাঙ্গালী সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠণের নেতাদের সঙ্গে এন আর সির গেরোয় বিপন্ন লাখ লাখ বাংলাভাষীর আজকের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন | সারা অসম বাঙালি পরিষদের নেতা চিত্ত পাল এন আর সি নিয়ে বাংলাভাষী মুসলিম , এমনকি হিন্দুরাও যে গভীর সংকটে পরেছেন তা তৃনমূল নেতাদের জানান |
তৃনমূলের তিন মন্ত্রি বাঙ্গালীনেতাদের জানান যে , অসম থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে হটানো গেলেই আসামে তথাকথিত অনুপ্রবেশের নামে বাঙ্গালীদের এখানকার সংকটের নিরসন হবে | নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিলেও সাবেক পূর্ব পাকিস্থান , ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব এখন না মেলায় হিন্দু বাঙালিরা আসামে গভীর সংকটে বলেই মনে করছেন তৃনমূল কংগ্রেস নেতারা | আসলে তৃনমূল আসামে পা রাখার লক্ষেই এন আর সি নিয়ে সরব হতে চাইছে বলেই মনে করছেন অসমের রাজনৈতিক মহল |
0 comments:
Post a Comment