স্টাফ রিপোর্টার ২রা মার্চ,কলকাতা :রবিবার 7 ই মার্চ বিজেপির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের পর রাজ্যে পরপর আরো সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। এমনকী আরো কুড়িটি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। 25 -30 টি জনসভা করাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। আর সেই সভা গুলি নজরকাড়া কেন্দ্রে করাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পঞ্চাশটি জনসভা করবেন মোদির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই দোসরা মার্চ সভা বাতিল হয়েছে বঙ্গে। তাই বিকল্প সভা করার কথা ভাবছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা।একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে দিয়ে আরো বেশি করে সভা করাতে পারলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে ভিত মজবুত করা যাবে। যদিও এখন এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি।
মাসের প্রথম রবিবার কল্লোলিনী কলকাতায় নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ। আর তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই মঞ্চ কোথায় হবে, পরিকাঠামো কেমন থাকবে, নেতারা কোথায় বসবেন, সংবাদমাধ্যমের জায়গা কোথায় হবে তা তদারকি করছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এমনকি মাঠ ভরাতে তৎপর গেরুয়া শিবির।এই ব্রিগেড সমাবেশে কুড়ি লক্ষ জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, '7 তারিখের ব্রিগেড ভরাতে হবে। প্রধান মন্ত্রীর ব্রিগেডে কুড়ি লক্ষ মানুষের জমায়েত করতে হবে।' ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সভা করতে রাজ্যে এসেছেন। আজ মালদহের গাজোলে এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকার কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। মোদি, শাহের পর বিজেপির স্টার আকর্ষণ অবশ্যই যোগী আদিত্যনাথ, যিনি হিন্দুত্বের পোস্টার বয় হিসেবে ভারতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছেন।
এদিকে কলকাতায় হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় দলের বর্ধিত কোর কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, মোদীর ব্রিগেড সফল করতে রাজ্যের প্রতিটি বুথ থেকে লোক আনতে হবে। কোথাও কোন খামতি রাখা চলবে না। বাংলা যে পাখির চোখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এসে তা যেন বুঝতে পারে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই মাঠ ভরানো থেকে শুরু করে ব্যাপক ব্যবস্থা রাখতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি।
ব্রিগেডের প্রচার করতে পথসভা, মোটর বাইক মিছিল করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ করতে হবে।' আর এই ব্রিগেড সমাবেশ করে নজর কাড়তে পারলেই বাকি আরও সভা করানোর প্রস্তাবে রাজী করানো যাবে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা।
0 comments:
Post a Comment