Indiapost24 Web Desk:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে যারা একসময় শিক্ষক হিসেবে সমাজ গড়ার কাজে ব্রতী ছিল আজ শিক্ষক দিবসে তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হল সুপারেনটেনডেন্ট দেবাশীষ চক্রবর্তীর প্রচেষ্টায় আলিপুর জেলের তরফ থেকে যা নিঃসন্দেহে আজকের তারিখে এক নজির গড়লো। কিন্তু এই প্রথমবার আলিপুর জেলে সাজা প্রাপ্ত 6 জন শিক্ষককে "শিক্ষক দিবসে" এক বিশেষভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হল। যাদের নামে বিভিন্ন কোর্টে পস্ক আইন সহ খুন, প্রতারণার একাধিক মামলা চলছে। আর সেই মামলায় দণ্ডিত হয়ে আজ তারা আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলের কাল কুঠুরিতে বন্দী। আজকের দিনে দোষী অবহেলিত সেই সব শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিয়ে সমাজের প্রতি তাদের মূল্যবোধকে আরও একবার মনে করিয়ে দিলো আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ।
আমাদের তরফ থেকে আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারেন্টেন্ড দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,"শিক্ষক যারা আমাদের সারাজীবন এগিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের সাহায্য করেছে তারাও তো কখনো কখনো বিপদে পড়ে,তাই তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের একান্ত কর্তব্য। আর সেখান থেকেই আমার উপলব্ধি যে সংশোধনাগারের মধ্যেই তো এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শিক্ষক এবং বিপন্ন অবস্থায় আছেন। যে কোন অবস্থার পরিবর্তনের কারণে সেটা ইতিবাচক না নেতিবাচক সেই বিচারের ভার আমার উপর নেই। কিন্তু সেই অবস্থার পরিবর্তনের দায়ে আজকে তারা আমার সংশোধনাগারের মধ্যে আবদ্ধ। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হল তাদের যে সম্মান সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দেওয়া ও তাদের শিক্ষক সত্ত্বাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা ও এই সংবর্ধনা দেওয়া"।
বর্তমানে 2050 জন কয়েদির এই জেল,যার মধ্যে 6 জন বন্দী মহান পেশা শিক্ষকতার মধ্যে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি কমবেশি 10 -15 বছর জেল শিক্ষক হিসেবে জেলে কর্মরত থেকে পদোন্নতি প্রাপ্ত আরো তিন জন শিক্ষক কেও আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে আজকের দিনে তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সমাজের প্রতি শিক্ষকের কর্তব্য কি সেটাই একবার মনে করিয়ে দিলো আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। আর নিঃসন্দেহে এই সম্মান পেয়ে তারাও দৃঢ় সংকল্পিত আগামী ভবিষ্যৎকে নিয়ে।
সমাজের বিদ্বজনদের মত জেলার সুপারিনটেনডেন্টের এহেন প্রচেষ্টা ও এই অভিনব প্রয়াস কে সাধুবাদ জানানো উচিত কারণ গোটা দেশ সহ বাংলার মাটিতে শিক্ষক দিবস উদযাপনের এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন তিনি আজ সমাজের সামনে রাখলেন।
0 comments:
Post a Comment