এন এন এস ২৮শে ফেব্রুয়ারীঃ তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রাকৃতিক ভূ- - বিপর্যয়ের পাশে জাপান, আফগানিস্থান, নেপাল, পাকিস্থান সহ একাধিক দেশের পাশে ভারত নিয়েও ভূ-বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা বাড়ছে। ডাচ ভূবিজ্ঞানী ফ্রাংক হুজারবিট ভারতের কাশ্মীর, গুজরাট, দিল্লি, এন সি আর, অসম সহ উত্তর পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গেও ভূ বিপর্যয়ের আগাম আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। হুজারবিট প্লানেটের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করলেও অনেক ভূ-বিজ্ঞানী তাঁর মূল্যায়ন নিয়ে একমত নন।
তুরষ্ক-সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ভয়াবগ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সামান্য কিছুদিন আগে ডাচ ভূ-বিজ্ঞানী ফ্রাংক হুজারবিট তুরষ্ক, সিরিয়ায় আগাম আশঙ্কা ব্যক্ত করায় তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্বের অনেক ভূ-বিজ্ঞানী। ভারতের ৫৯ শতাংশ ভুকম্পন প্রবন এলাকা বলেই মনে করছেন ভূবিজ্ঞানীদের বড় অংশ। আন্দামান, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে দিল্লি এন সি আর, কাশ্মীর, উত্তর পুর্ব, পশ্চিমবঙ্গ ভূকম্পন জোনে রয়েছে বলেই মনে করছেন দেশ-বিদেশের বহু ভূবিজ্ঞানী।
ভারতে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা, বন জঙ্গল গাছপালা কেটে ফেলা, ভূগর্ভ থেকে জল তুলে নেওয়া এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণেই দেশের বড় অংশে ভূ-কম্পন ও ভূমি ধ্বংসের সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই মনে করছেন দেশের ভূবিজ্ঞানীদের একাংশ। অসম সহ উত্তর পুর্ব বরাবরই ভূ-কম্পন জোনে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অপরিকল্পিত বীভৎস নগরায়ণে প্রাকৃতিক বিপদ ডেকে আনছে বলেই মত পরিবেশবিদ ও ভূবিজ্ঞানীদের। শুধু কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলি, জেলা শহর গুলিই নয়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাতে অপরিকল্পিত নগরায়ণে বিপদ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। জল, জঙ্গল সহ প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ, বালি-মাটি থেকে কয়লা পাচারে পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
কলকাতা শহরেই নির্বিকারে গাছ কাঁটা, মাটির নীচ থেকে জল তোলা, পুকুর-জলাশয় ভরাট করে প্রাকৃতিক বপর্যয় ডেকে আনা হচ্ছেই বলে মত পরিবেশবিদদের।
0 comments:
Post a Comment