দিলীপ চট্টোপাধ্যায়,মানুষের মতামত:বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল জোড়াফুল পার্টি। তবে, শুধুমাত্র মমতার দলই নয়। বড় ধাক্কা খেল বামেরাও। অন্যতম বাম শরিক সিপিআইও জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে।এর আগে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের মর্যাদা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু,তারপর ছয় বছর অতিক্রান্ত হতেই সেই তকমা বা মর্যাদা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য হাল ছাড়ছেন না। তৃণমূল নেতা সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,তাঁরা আইনিভাবে এই তকমা হারানোর জবাব নির্বাচন কমিশনকে দেবেন।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি টুইট করেছেন, 'তৃণমূল এখন আঞ্চলিক দল। দুর্নীতিগ্রস্ত, তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। সরকারের পতন এখন সময়ের অপেক্ষা।
শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন, ‘তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। নাম থেকে তৃণমূল কবে সর্বভারতীয় শব্দটা মুছবে?'
কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বঙ্গ বিজেপির অপর নেতা তথা রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বভারতীয় তকমাই ধরে রাখতে পারল না।' সাম্প্রতিক সময়ে গোয়া এবং ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস গোহারান হেরেছে। বহু প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত তো হয়েছেই। এমনকী,নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছেন কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। আর, সেই কারণেই জোড়াফুল শিবিরের মর্যাদাহানি ঘটল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তবে, শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসই নয়। রাজ্যের বিরোধী দলের মঞ্চ বামফ্রন্টও কমিশনের কোপে পড়ল। অন্যতম বাম শরিক দল সিপিআইও হারাল জাতীয় দলের মর্যাদা। শুধু তাই নয়। মহারাষ্ট্রে শাসন ক্ষমতা আগেই হারিয়েছিল শরদ পাওয়ারের এনসিপি। এবার তাদের জাতীয় দলের মর্যাদাও কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশন।
0 comments:
Post a Comment