এন এন এস [নয়াদিল্লি-কলকাতা] ৭ই এপ্রিল: কংগ্রেস বিরোধিতা, বিশেষ করে মোদী বিরোধী বিকল্প মুখ হিসাবে রাহুল গান্ধীর বিরোধিতা থেকে সরে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সি বি আই, ইডি, এন আই এ সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অব্যাহত চাপে দিশেহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারের শরণ নিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে সনিয়া গান্ধীকে লেখা মমতার গোপন চিঠি দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান ১০ জনপদে সোনিয়া গান্ধীর সরকারি বাসভবনে তুলে দিয়েছেন। জাতীয় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে ডেরেক ও ব্রায়ান তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবও সোনিয়া গান্ধীর কাছে তুলে ধরেন। মমতার বক্তব্য সংসদের বাইরে ও ভেতরে মোদী বিরোধি দলগুলি জোটবদ্ধ হয়ে সরকার বিরোধিতায় নামুন। যে রাজ্যে যারা শক্তিশালী তারাই মোদী, গেরুয়া শিবিরের মোকাবিলা করুন।
মমতা যে কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয়স্বরে বিজেপি বিরোধিতায় হাত মিলিয়ে চলার পক্ষপাতি তাও পরিস্কার করে দিয়েছেন ডেরেক ওব্রায়ান। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, বিশেষ করে অধীর চৌধুরি যে ভাবে তৃণমূলের বিরোধিতায় একদিকে সি পি এম, অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলেছেন তা নিয়ে ক্ষোভ গোপন করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় স্বার্থে তৃণমূল ও মমতা বিরোধিতা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সরে দাঁড়াক এমনটাই চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার চিঠিতে ও ডেরেক ওব্রায়ানের মোদি-মমতা সেটিং তত্ত্ব নাকচ করা হয়েছে। বামপন্থীদের এই অপপ্রচারে যে অধীর চৌধুরিরা সায় দিয়ে চলেছেন তাও জানানো হয়েছে সনিয়া গান্ধিকে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা যে সাগরদিঘিতে বাম শিবির ও বিজেপির একাংশের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয়ের পর বাঙ্গালী মুসলিম ভোটের বড় অংশ সরে যাওয়ার তথ্য উঠে আসায় তৃণমূল শিবিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সে জন্য মমতার কৌশল হল পশ্চিমবঙ্গে সি সি এমের বাম শিবিরের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক বোঝাপড়া ছিন্ন করা। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বর্তমান দুই সাংসদের আসন ছেড়ে দেওয়ার পাশে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার ভাবনা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। এদিকে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা স্পর্শকাতর এলাকায় ধর্মীয় বিভাজন ও তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক মেরুকরণের সম্ভাবনায় উদ্বেগেই বাম শিবির। কিছুটা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও। মমতা শিবিরের সাফ কথা বিজেপি আর এস এস রাজ্যে জমি হারিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়াতে চাইছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের সামাজিক, রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় যে মমতা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর সেই বার্তাও সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সনিয়া গান্ধীর বাড়িতে ডেরেক ও ব্রায়ানের বৈঠক ও মমতার পাঠানো বার্তা তুলে দেওয়া যে তাতপর্যপূর্ণ তা মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
Product Link :https://amzn.to/3mhWsxl
0 comments:
Post a Comment