স্টাফ রিপোর্টার: সংযুক্ত জনতা দলের অন্দরে বিদ্রোহী
মুড দেখেই লালন সিং কে সরিয়ে নীতিশ কুমার দলের সভাপতি হলেন। সংকট চলছে নীতিশের জনতা দলে। দলের জনপ্রতিনিধি বিধায়করা একদিকে বিজেপি ঘেঁষা, অপরদিকে লালুপ্রসাদ-তেজস্বি যাদব ঘেঁষা লাইনে দ্বিধাবিভক্ত। অতি সম্প্রতি লালন সিং এর সঙ্গে ১২ জন দলীয় বিধায়কের বোইথোক বসে। এরপর লালন সিং সরাসরি নীতিশ কুমার কে তেজস্বী যাদব কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিতে বলেন। এতে বিস্মিত হন নীতিশ, তিনি দলের অভ্যন্তভরে চক্রান্তের গন্ধ পান।
এর মধ্যে নয়া দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে সংযুক্ত জনতা দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডেকে নীতিশ লালন কে সরিয়ে দিয়ে নিজে সভাপতি হন। কিন্তু দলের অন্দরে জনপ্রতিনিধি বিধায়করা একদিকে বিজেপি ঘেঁষা, অপরদিকে লালুপ্রসাদ তেজস্বি যাদব ঘেঁষা লাইনে দ্বিধাবিভক্ত। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই দলকে টিকিয়ে রাখাই নীতিশ কুমারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেস।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন দলের একদিকে বিজেপি অপরদিকে লালুপ্রসাদ তেজম্বি যাদব নীতিশের দলকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন। বিজেপি বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে। বিজেপির একাংশ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পক্ষে। লোকসভার ডেপুটি স্পিকার হরিবংশ বিজেপিপন্থী। তিনি আবার
নীতিশ কুমারের কাছের লোক। হরিবংশ আবার বিজেপি - সংযুক্ত জনতা দলের আঁতাত চাইছেন। দলের অন্দরে জোট সরকার ছেড়ে বিজেপির হাত ধরার দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে লালন সিং কে সরিয়ে নীতিশ কুমারের নিজেই দলের সভাপতি হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
0 comments:
Post a Comment