Indiapost24 Web Desk: সংগে জোত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস তৃণমূলের আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সংসদে কংগ্রেস দলের নেতা অধীর চৌধুরীর চাপ বাড়তে চলেছে। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে জেতাতে সংঘ পরিবার বিজেপির গোপন নির্দেশ ছিল। তৃণমূলকে হারাতে একদিকে সি পি এম- বামপন্থীরা, অন্যদিকে বিজেপি ভোট সমীকরণে এক জোট হয়। প্রায় ৮০ হাজার ভোটে অধীর চৌধুরী বিজয়ী হয়।
এবার কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বিজেপি জেতার জন্যে ঝাঁপাচ্ছে। শুধু বহরমপুরই নয়, বেলডাঙ্গা, কান্দি, ভরতপুরে বিজেপি লিড দেওয়ার ছক কষছে। এজন্য বিজেপি তাদের মুসলিম মহিলা নেত্রী মাফুজা খাতুনের মত সুবক্তাকে প্রার্থী করে বাজিমাৎ করতে চাইছে। ছাত্রজীবনে এস এফ আই, পরে সি পি এম করা এই সুবক্তা মহিলাকে বাজি করতে চাইছে বিজেপি। ১৯-এর নির্বাচনে মাফুজা জঙ্গিপুরে দারুন লড়েছেন। বহু মুসলিম ভোটও তিনি পেয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের ২ বারের সি পি এম বিধায়ক মাফজা খাতুন ১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। মাফুজা প্রার্থী হবে জেনে স্নায়ুর চাপে পড়েছেন অধীর চৌধুরী। শেষ পর্য্যন্ত অধীরবাবু ও তাঁর দল কংগ্রেস এ রাজ্যেও তৃণমূলের হাত ধরতে পারে এমন সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। এতেই উদ্বেগ বেড়েছে সি পি এমের বাম জোটের অন্দরে।
অধীর চৌধুরী-দীপা দাশমুন্সিরা এখনও পশ্চিমবংগে তৃণমূলের সংগে জোতে নীতিগত আপত্তি জানালেও এই মুহূর্ত্যে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-আর এস এসের হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়তে মমতা-তৃণমূলকে পাশে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসও মমতায় এখন নমনীয়। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সংগে জোটে প্রকাশ্যে সমর্থন এসেছে সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর তরফে। অন্যদিকে
তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে দলের অন্দরে কট্টর মমতা বিরোধিরা যে দল ছাড়বেন তা নিশ্চিত।
কংগ্রেসের অপসারিত মুখপাত্র-আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী আবার রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতায় বিকল্প রাজনীতির ডাক দিয়েছেন। কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বিকল্প রাজনীতির পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। তৃণমূলের অভিযোগ এর পেছনে রয়েছেন কৌস্তভ বাগচী। তাকে সমর্থন দিচ্ছে বিজেপি-আর এস এস। কৌস্তভের বিকল্প রাজনীতির মোদ্দা কথা জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে বঙ্গ রাজনীতি গুলিয়ে ফেলা চলবে না। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির বাধ্য-বাধকতায় স্বৈরাচারি-দূর্নীতিগ্রস্থ-হিংসা- সন্ত্রাসের শক্তি তৃণমূলের বিরোধীতায় রাজ্যের বিরোধীদের একের বিরুদ্ধে এক নীতিতে বোঝাপড়ায় আসতে হবে। যদিও বাম শিবির, প্রদেশ কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতা এর পেছনে বিজেপি দল, বিশেষ করে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারির রাজনৈতিক কৌশল দেখছেন। তাই কংগ্রেস দল, বিশেষ করে অধীর চৌধুরীর ওপর প্রবল রাজনোইতিক ও স্নায়ুর চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
0 comments:
Post a Comment