Indiapost24 Web Desk: ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিষ্টদের
উচ্ছেদ করে কংগ্রেসের সংগে হাত মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসে। কমিউনিষ্টদের উচ্ছেদ করে সেই পরিবর্তনে সবচেয়ে ভূমিকা ছিল বাংগালী মুসলিম সমাজের। উর্দুভাষী মুসলিমরাও মমতাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে এই মুহুর্ত্যে ৩১ শতাংশ মুসলিম। তার ৪ শতাংশ উর্দুভাষী হলেও, ২৭ শতাংশ বাঙ্গালী মুসলিম। এর মধ্যে পশিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদহ জেলায় মূলতঃ বাঙ্গালী মুসলিমদের সংখ্যা ৬০-৬৫ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্দ্ধমান, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলীর মত জেলাতেও মুসলিম জনসংখ্যা ৩০-৩৫ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, জংগিপুর, উত্তর মালদহ, দক্ষিণ মালদহ, কৃষ্ণনগর, বীরভূম, বোলপুর, ডায়মন্ডহারবার, আরামবাগ, মথুরাপুর, জয়নগর, উলুবেড়িয়া, তমলুক, বর্দ্ধমান পূর্ব, আসানসোল, বারাসাত, বসিরহাটের মত লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটই জয়ী প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন করে।
২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও যে বিজেপি-আর এস এস 'হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি'র বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের আশা ভরসার কেন্দ্র সেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং ব্যক্তি হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করার লক্ষ্যে যেমন কংগ্রেস, কমিউনিষ্ট শিবির ও নওশাদ সিদ্দিকিদের আই এস এফ জোট বেঁধে তার মুসলিম সমর্থনকে ভাঙ্গতে যথেষ্ট তেমনি কংগ্রেস-কমিউনিষ্টদের তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনার অনেকটাই স্বস্তিতে হিন্দুত্ববাদী শিবির। হিন্দুত্ববাদী শিবিরের আশা যে মমতার মুসলিম ভোট ব্যাংকে ফাটল আনতে কমিউনিষ্ট-কংগ্রেস-আই এস এফ জোট। তাতে ধর্মীয় বিভাজন ও হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করে বাজি জয়ের স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া শিবির।
এদিকে পর্যবেক্ষকদের ধারণা অন্য রাজ্যের মত এই রাজ্যে সি এ এ, এন আর সি, মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বিতারনের জুজুতে মুসলিম সমাজ ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের মত এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ৩১ শতাংশ মুসলিমদের ৮০-৮৫ শতাংশই মমতার পাশে দাঁড়ালে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট প্রাপ্তি বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে ৪/৫ শতাংশ কম হলেও ৪২-৪৩ শতাংশ পৌছে যাবে।
অন্যদিকে কংগ্রেস-কমিউনিষ্ট-আই এস এফ-এর জোট মূলতঃ তৃণমূল ও প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটকে ভাগ করলে যে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা ৫-৬তে দাড়াতে পারে তেমন সম্ভাবনাই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
0 comments:
Post a Comment