Indiapost24 Web Desk:দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৪ দিন ব্যাপি সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব। প্রতি পর্বের ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর একদম তৃণমূলস্তর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করছেন। তারপর তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
প্রথম পর্ব থেকেই দেশে ভোট দানের হার ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় অনেকটাই কম। হিন্দু উচ্চবর্ণ ও বিজেপির অনেক সমর্থক ভোটদানে অনীহা প্রকাশ করে চলেছেন এই খবরে বিজেপি উদ্বিগ্ন। দলের চালিকা শক্তি আর এস এস নেতৃত্বও এই ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-নাড্ডাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশও ভোট দানের হার বেশ কম। অন্যদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশে যাদব-মুসলিমরা অত্যন্ত সংগঠিত ভাবে ভোট প্রদান করছেন এমন খবরে বিজেপির উদ্বেগ অনেকটাই বাড়িয়েছে।
দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ছাড়া সেভাবে আসন প্রাপ্তির আশা করছেন না বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব। তবে উত্তর ভারতের গো-বলয় তথা হিন্দি হার্টল্যান্ড ও প.ভারতের মহারাষ্ট্র নিয়ে উদ্বেগ প্রতি মুহুর্ত্যে ধাওয়া করে চলেছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অযথা টেনশন না নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। যোগীর সাফ কথা উত্তর প্রদেশে বিজেপিই জিতবে। যোগীর দাবি সত্ত্বেও শাহ-নাড্ডারা তৃণমূল স্তরে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে জাঠ, রাজপুতরা তাদের জাতিগত ক্ষোভের কারণে বিজেপি বিরোধিতা করছেন এমন খবরে উদ্বেগেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তাই ৫ম দফার নির্বাচনের পর প্রতিটি আসন ধরে ধরে পর্যালোচনা চলছে। উত্তরপ্রদেশে ১৯-এর বসপা-সপা জোটের চেয়ে এবার সপা-কংগ্রেস রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল বলে নিশ্চিত যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু গ্রাউন্ড জিরোতে বিজেপির অনেক নেতা সপা-কংগ্রেস অনেক সবল বলেই মনে করছেন। আসলে গো-বলয় অর্থাৎ হিন্দি হার্টল্যান্ড,মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক নিয়ে চাপেই রয়েছেন শাহ-নাড্ডারা এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment