Indiapost24 Web Desk:মণিপুরে চলমান জাতি হিংসা, প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক লাভ ওঠাতে সক্রিয় কংগ্রেস। মণিপুরে এর আগে একবার যাওয়া, দ্বিতীয় ভারত ন্যায় যাত্রা মণিপুর থেকে শুরু করারম পর বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তৃতীয়বার মণিপুরে যাওয়ায় বেজায় কোণঠাসা গেরুয়া শিবির। নরেন্দ্র মোদী একবারও না যাওয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির অন্দরে, এমন কি আর এস এসও মোদীর একবারও মণিপুরে না যাওয়াকে ভাল চোখে দেখছেন না।
এই মুহুর্ত্যে মণিপুরে বীরেন সিং-এর বিজেপি রাজ্য সরকার কাগজে কলমে রয়েছে। মণিপুরের পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও সেনা, আধা সেনা বাহিনী। প্রায় ৬০ হাজার বাস্তুচ্যুত্মানুষকে রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র ৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। তবু হিংসা-সন্ত্রাসের পরিবেশ থামে নি। যদিও মোদীর দাবি আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক মণিপুর। স্কুল-কলেজও খুলেছে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের আগুনে ঘি না ঢালার আবেদন জানিয়ে মোদী রাজ্যসভায় বিবৃতি দিয়েছেন।
মোদী গত ১০ বছরে উত্তর-পুর্বে ৭০ বার সফর করেছেন। মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসে মণিপুরে মেইতি-কুকি জাতি সংঘর্ষে এখনও পর্য্যন্ত ২২৫ জন নিহত, কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ৬০ হাজারের বেশি হিংসা কবলিত মানুষ বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে রয়েছেন। এই পরিস্থিতি মোদীর দীর্ঘ নীরবতা, মণিপুরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে যথেষ্ট আপসেট গেরুয়া শিবির।
আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবতও মণিপুরের মত উত্তর-পুর্বের স্পর্শকাতর সীমান্তে রাজ্যে জাতি সংঘাতে উদ্বেগ জানিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর জোর দিলেও মোদী একবারও মণিপুরে না যাওয়া, দীর্ঘ নীরবতার পর রাজ্যসভায় মণিপুর নিয়ে দেওয়া বিবৃতি গেরুয়া শিবিরের ড্যামেজ কন্ট্রোলে কতটা সহায়ক হয় তা নিয়ে চিন্তা গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। এরই প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর তৃতীয়বার মণিপুর যাত্রা নিশ্চিতভাবে তাতপর্য্যপুর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
0 comments:
Post a Comment