ইন্ডিয়া জোটের ব্যাটন সোনিয়ারই হাতে?

 


Indiapost24 Web Desk:এই মুহুর্ত্যে কংগ্রেসের সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জূন খাড়গে। লোকসভায় বিরোধী দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু শুধুমাত্র কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সেন হয়েই কার্যত ইন্ডিয়া জোটের ব্যাটন এখন সোনিয়া গান্ধীর হাতে। 

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির শক্তি হ্রাসের পর সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শেই কংগ্রেস বামপন্থী শিবির, বিজেপি বিরোধী সেকুলার আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজ্যে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রক্রিয়া জোরদার করা হচ্ছে।

মূলতঃ সোনিয়া গান্ধীকে সামনে রেখে সারা দেশে সংসদের ভেতর বাইরে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই প্রবল চাপেই পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।

যথার্থ কোয়ালিশন রাজনীতির যুগ ফেরায় অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন সোনিয়া গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনে ১০০ আসন লাভের দোর গোড়ায় এসে কংগ্রেসও জোট রাজনীতির বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে মোদী সরকারকে ধাক্কা দিতে প্রস্তুত হয়ে উঠেছে।

তাই পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি, সন্ধি করতে এবার স্বয়ং সোনিয়া গান্ধীই সক্রিয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের মমতা বিরোধী লাইনকে নাকচ করতে চাইছেন সোনিয়া। অধীর চৌধুরীকেও তেমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর ২৬শের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের সঙ্গে না হলেও কংগ্রেস-তৃণমূল রাজনৈতিক সমঝোতা যথেষ্ট উদ্দ্বল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক স্থাপনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন সোনিয়াই। পশ্চিমবঙ্গের মত ত্রিপুরা, মেঘালয়ের কংগ্রেস নেতারাও তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে যথেষ্ট এলার্জিক। ত্রিপুরা, মেঘালয়ে বিজেপিকে সাহায্য করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করছেন বলেই অতীতে আশীষ সাহা, সুদীপ রায়বর্মন সহ ত্রিপুরা, মেঘালয় নেতাদের বক্তব্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে জানানো হয়েছে।

কিছু বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তৃণমূলের সঙ্গে সার্বিক সমঝোতা চাইছে। তবুও এবার পশ্চিমবঙ্গে জাতীয়স্বার্থে মোদী-বিজেপি বিরোধিতায় ২৬-শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে প্রয়োজনে কংগ্রেস-তৃণমূলের ভাংগা সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে  বলে জল্পনা। ২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে পস্বহচিমবংগে বিজেপিকে ২৯৪ আসনেই হারাতে আগ্রহী মমতা। এজন্য কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বের সহযোগিতাও চান। প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বের মতিগতি পরিবর্তিত হলে ও বামপন্থীদের হাত ছাড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে প্রস্তুত তেমন ইঙ্গিত মিলছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই বলেই জল্পনা। সংসদের ভেতর ও বাইরে কংগ্রেস-তৃণমূল সমন্বয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান সোনিয়া। ২৬-এর আগে মমতা-সোনিয়া সমীকরণে বরফ গলায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বা সমঝোতার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীকে হয় কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পন, নয়তো নিজের পথ দেখতে হতে পারে।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment