Indiapost24 Web Desk:উত্তর কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রের বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপির হার কার্যত অনিবার্যই ছিল। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৮ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন। যদিও ১৬ ও ৩১ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এছাড়া ১১, ১৪, ৩২, ১৫, ২৮, ২৯ ওয়ার্ডে এগিয়ে ঞ্ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবারের উপ নির্বাচনে দূর্বল মেশিনারি, প্রচারে ভর করে বিজেপি প্রার্থী এ আই এফ এফের সভাপতি কল্যাণ চৌবে নির্বাচনে দাঁড়ান। কল্যাণ চৌবের রাজনৈতিক ট্র্যাক রেকর্ড শুধুই পরাজয়ের। ২০১৯-এ আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবতের স্নেহধন্য কল্যাণ চৌবে বিজেপিতে যোগ দিয়েই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন। তৃণমূল কংগ্রেসের ফায়ারব্র্যান্ড সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কাছে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। আবার ২০২১ সালে উত্তর কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনে
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের কাছে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে সাধন পান্ডের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনী পিটিশন করেন। সাধন পান্ডের মৃত্যুর ২ বছরের পর শেষে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কল্যাণ চৌবে মমলা প্রত্যাহার করেন। তারপরই এই উপ নির্বাচন।
মানিকতলার উপ নির্বাচনে বিজেপি ৬০ শতাংশ বুথে কোন পোলিং এজেন্টই দিতে পারে। ১৬ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লিডও ধরে রাখতে পারেন নি। নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষের সঙ্গে ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হলে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। ৬২ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত হয়েছে গেরুয়া শিবির । যা রাজ্য বিজেপির নেতাদের কাছে মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না ।
১০ই জুলাই মানিকতলার উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট মেশিনারীর সামনে দাঁড়াতেই পারেন নি কল্যান চৌবে। সেদিনই কার্যত উপ নির্বাচনে তিনি পরাজয় মেনে নেন। লোকসভা নির্বাচনে মাত্র তিন হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৬২ হাজারের ওপর বড় মার্জিনেই পরাজয় মেনে নিলেও কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন পিটিশনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন মোহন ভাগবতের প্রিয় ও এ আই এফ এফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। যদিও শাসক তৃণমূল কংগ্রেস তাতে পাত্তা দিতে চাইছেন না।
0 comments:
Post a Comment