Indiapost24 Web Desk:বিজেপির জাতীয় নেতৃত্বের বর্তমান সমীকরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কৌশলগত কারণেই গুরুত্ব বাড়ছে নীতিন গাদকারির। একদা সংঘের পোষ্টার বয় বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি ও বিদর্ভ অঞ্চলের মারাঠি হিন্দু নেতা নীতিন গাদকারি। ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই গাদকারির রাজনৈতিক ডানা ছাঁটা শুরু করেন মোদী-শাহ শিবির।
কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি-উদ্ধব শিবসেনা- এন সি পির মত ইন্ডিয়া জোট শরিক বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের কাছে উদারমনা নরম প্রকৃতির এই তুখোড় মারাঠি রাজনীতিকের গ্রহণযোগ্যতা এখনও বিদ্যমান। বিজেপির অন্দরে স্পষ্ট ভাষনে পটু হলেন গাদকারি। এবার ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর মোদী-শাহের প্রচার, নির্বাচনী সংগঠন ও কৌশল সত্ত্বেও বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতিশ কুমার, চিরাগ পাসোয়ান, কুমারস্বামী, জয়ন্ত চৌধুরি প্রমুখ এন ডি এ-র শরিক দলের নেতাদের সমর্থনেই চলছে তৃতীয় মোদীর সরকা্। নরেন্দ্র মোদীর মেজাজও অনেক নরম। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ ছবিও বদলাতে শুরু করেছে। দলের অন্দরেতো বটেই, মন্ত্রীসভায়, এন ডি এ জোট শরিক ও বিরোধী কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের কাছে বিজেপির সমন্বয়কারী হয়ে উঠেছেন সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুই নরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা।
একদিকে রাজনাথ সিং, অন্যদিকে দক্ষ ও কৌশলি মারাঠি রাজনীতিক নীতিন গাদকারি। ১৪ ও ১৯ সালে দু দুবার ক্ষমতায় আসার পর গাদকারিকে কেন্দ্রীয়
মন্ত্রীসভায় ও দলে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন মোদী এবং তাঁর বিশ্বস্ত “সেকেন্ড ইন কম্যান্ড” অমিত শাহ। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গাদকারিকে টিকিট দিতে চান নি মোদী। শেষ পর্য্যন্ত নাগপুরের সংঘ নেতাদের পরামর্শে মোদিকে মত পরিবর্তনে বাধ্য হতে হয়।
এখন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠেকায় পড়ে মোদীর কাছে শুধু রাজনাথ সিংইনন, নীতিন গাদকারির গুরুত্ব বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে কোণঠাসা বিজেপি ও জোট শরিকরা লোকসবা নির্বাচনে মাত্র ১৮ আসনে জিতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে কোণঠাসা। এবছরের শেষে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটকে জেতাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামছেন শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, নানা পাটোলেরা। মহারাষ্ট্রে হারলে মোদী-শাহরা আরো ব্যাকফুটে চলে যাবেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের চেয়ে বিদর্ভের মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় নীতিন গাদকারি। তাই গাদকারিকে আসরে নামানো হচ্ছে। সংঘ পরিবারের একদা পোষ্টার বয় নীতিন গাদকারির গুরুত্ব তাই জাতীয় রাজনীতি তো বটেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতেও বাড়তে চলেছে।
0 comments:
Post a Comment