যদিও সন্দীপ ঘোষ এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভে,কিছু মিডিয়া তবুও দেখাচ্ছে ওএসডি স্বাস্থ্য ভবন পদে দায়িত্বে আছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর: স্বাস্থ্য সচিব

 



Indiapost24 Web Desk:আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নাকি স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি'র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন কোন অর্ডার রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত হয়নি। এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। রাজ্যের বিরুদ্ধে একটানা অপপ্রচারের বিরোধিতা করে শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে একথাই জানালেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। একইসঙ্গে পরিষেবা সচল করতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার ফের একবার আবেদন জানান স্বাস্থ্য সচিব।তিনি বলেন, ' সন্দীপ ঘোষ এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভে রয়েছেন। তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফারের অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। কিছু কিছু মিডিয়া দেখাচ্ছে, তাকে নাকি ওএসডি স্বাস্থ্য ভবন পদে ফেরানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। এরকম কোন অর্ডার দেওয়াই হয়নি। গতকাল সকালে আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নতুন অধ্যক্ষ এবং নতুন এমএসভিপি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।' একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্য, 'রেসিডেন্ট ডাক্তারেরা হল চিকিৎসা ক্ষেত্রের মেরুদন্ড। তাদের অনুপস্থিতি রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে বিরাট ভাবে পড়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে বেশ কয়েকজন রোগী মারাও গিয়েছেন। ‌ক্যান্সার, কার্ডিয়লজি, নিউরোলজি প্রভৃতি বিভাগ সচল রয়েছে। কিন্তু রেসিডেন্ট ডাক্তারদের অনুপস্থিতির জন্য রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগী পরিষেবা সচল রাখতে চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যান্য রাজ্যের আন্দোলনকারী ডাক্তারেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আমরা আরো একবার আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। যার ফলে রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।' প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে গত ২০ অগাস্ট বৈঠক হয়। এদিন স্বাস্থ্য সচিব বলেন, 'তাদের দাবি মত অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি'কে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মোট চারজনকে তাদের পদ থেকে সরানো হয়।' রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়াতে আরো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিআইএসএফ ইতিমধ্যেই আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। রাজ্য সরকার সকল প্রকার সহযোগিতা করছে তাদের।রাজ্য সরকার সমস্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দিতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই মহিলা চিকিৎসকদের সুরক্ষার্থে 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার।চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা রাজ্যের সকল হাসপাতালগুলোতে সিসিটিভি সংখ্যা বাড়াচ্ছি, রেসিডেন্ট রুমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।সিকিউরিটি গার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, মহিলা সিকিউরিটি গার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।'

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment