Indiapost24 Web Desk:এদিন রাজভবনে থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন 'বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে গন্ডগোল করেছে।গতকাল গভীর রাতের ঘটনাটা দুঃখজনক। আমরা তো ফাঁসি চাই। সিবিআই যা সহযোগিতা চাইবে আমরা করব। আমাদের পুলিশ যখন তদন্ত করেছিল কোন কিছুই লীক হয়নি। আমি তো নিজেই মিছিল করব কালকে। কখনও কখনও এক একটা ঘটনা ঘটে যায়,এটা সামাজিক ব্যাধি। এর আগে হাতরসে ঘটনা ঘটেছে। উন্নাও থেকে শুরু করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার মত লোমহর্ষক ঘটনা। এগুলো যারা করে এটা ক্রাইম এক্সট্রা-অর্ডিনারি ক্রিমিনাল। এটার একটাই শাস্তি ফাঁসি দিয়ে দাও। কিন্তু আমি নিশ্চয়ই বলবো, প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। ধনঞ্জয়ের কেসটা এখনো কাগজে লেখা হয়। তখন সাক্ষী দিয়েছিল সে পরে বলেছে পাপ বোধ হচ্ছে। এইভাবে যেন কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়। আমাদের পুলিশ ৩৪ জন কে ডেকেছিল। আমরা তো রবিবার পর্যন্ত শেষ সময় নিয়েছিলাম।আমি তো বলেছিলাম যে রবিবার পর্যন্ত যদি না হয় আমরা নিজেরাই সিবিআইকে দিয়ে দিতাম।আদালত আদেশ দিয়েছে। আমাদের আপত্তি নেই। এটাও তো বলেছে যারা পরিষেবা দিচ্ছেন না কাজে যোগ দিন। আমিও কিন্তু অনুরোধ করেছি এটা। যে ক্ষতি হয়েছে আরজি করে!তারা আরজিকরের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। কারোর হাতে টিওয়াইএফআই ফ্ল্যাগ,কারোর হাতে জাতীয় পতাকা বিজেপির লোক। আমার পুলিশের উপরে আক্রমণ হয়েছে।মাথা ফেটে রক্ত ঝরেছে। রাত তিনটে পুলিশকে বলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাথায় আঘাত করলে কোমায় চলে যায়। পুলিশকে সাধুবাদ দেব ধৈর্য হারায়নি। সহ্যের সীমা ছাড়াই নি। এটা ভালো। কবি গুরুর ভাষায়,বাঁধ ভেঙে গেলে!আন্দোলনের সীমা নজরে রাখতে হয়। আমি আন্দোলন করেই বড় হয়েছি। হাসপাতাল- ফায়ার ব্রিগেডে এসব কখনো করিনি।বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় বুদ্ধ বাবুকে বলেছিলাম কোন সাহায্য লাগবে কিনা। তখন মাদার টেরিজার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।
পরিষেবা না পেয়ে তারা গ্রামে ফিরে যাচ্ছে।স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে। বেশ কয়েকজন মারা গেছে। কিছু জুনিয়র ডাক্তার এবং কিছু সিনিয়র ডাক্তার এমার্জেন্সি করছে। তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।
0 comments:
Post a Comment