এবার কলকাতায় বামেদের মহামিছিল




Indiapost24 Web Desk:বিজেপি-আরএসএস-এর সঙ্গে শুধু আদর্শগত দূরুত্ত্বই নয়, আর কি কর হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের খুন–ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলনেও দূরুত্ত্ব তৈরি করছে সিপিএম,বামপন্থীরা। পঃবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে বিজেপি – আরএসএস, এবিভিপির বেনামে ছাত্র – নাগরিক আন্দোলনে অংশ নেয়নি বামেরা । উল্টে দূরুত্ব তৈরি করছে । 

১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বামফ্রটের ব্যানারে সিপিএম সহ বামপন্থী দলগুলি মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে । ঐ দিন রাজাবাজার থেকে  মহাজাতি সদন পর্যন্ত আরজিকর কান্ডে প্রতিবাদ ও দ্রুত সিবিআই তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের গ্রেফতার , দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হবে । 

কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে কর্মরতা তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তাল শুধু পঃবঙ্গই নয়,সারা দেশ । নাগরিক সমাজের আন্দোলনে বিরাট প্রভাব ফেলেছে । অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিশেষ ভাবে অতি সক্রিয় বিজেপি । তারা আন্দোলন হাইজ্যাক করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাম – অতি বামেরা । এ বিষয়ে নাগরিক আন্দোলনেও বিভাজনের সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে । 

নবান্ন অভিযান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি শুভেন্দ অধিকারির মস্তিষ্ক প্রসুত । আরএসএস – এবিভিপি –বিজেপির সমন্বয়ে পঃবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে নবান্নে সংঘাতময় অভিযান হয়েছে ।  সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে দলের যুব ছাত্র ও গণ সংগঠনগুলি এই কর্মসূচি পরিহার করে ।  অন্য বামপন্থী ও অতি বামপন্থী দলগুলিও নবান্ন অভিযান বয়কট করায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস  নেতৃত্বের মধ্যে প্রবল স্বস্তি দেখা গেছে ।   নাগরিক সমাজের একঅংশ প্রশ্ন তুলছে বামপন্থী দলগুলি বিশেষ করে সিপিআইএম উত্তর প্রদেশে হওয়া হাতরাস, উন্নাও এর ঘটনাকে আরজিকরে ঘটে যাওয়া খুন – ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে আর জি করের ঘটনাকে সরলীকরণ করার কেন চেস্টা করছে ?  সেখানে সিপিএম উত্তর প্রদেশের হাতরাস ও উন্নাও এর ঘটনাকে হঠাত আর জি করের ঘটনার সঙ্গে তুলনায় এনে প্রকারান্তরে মমতাকে বাঁচাতে চাইছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment