বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, অতি সতর্ক মোদী সরকার

 


Indiapost24 Web Desk:বাংলাদেশের চলতি ঘটনাবলি, হিংসা ও গণ আন্দোলনের নামে শেখ হাসিনা সরকারকে উচ্ছেদের চেষ্টায় উদ্বেগেই মোদী সরকার। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের লাগোয়া সীমান্ত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও বিহার রাজ্য প্রশাসনকে অবৈধ অনুপ্রবেশ জনিত সমস্যা নিয়ে সর্তক থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রক। অনুপ্রবেশ সমস্যার ফলে সীমান্ত রাজ্যগুলির ও সীমান্ত জেলাগুলির জনসংখ্যা চিত্রের পরিবর্তন ঘটছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র' মন্ত্রকের আধিকারিকরা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আই বির শীর্ষ  কর্তারা আশংকা ব্যক্ত করেছেন যে, নির্বাচন রাজনীতির লক্ষ্যে এই অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকে কার্যত রাজনৈতিক সমর্থন শুরু হয়েছে। যা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশি সন্ত্রাসীরা ভারতে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তাদের তথ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মত রাজ্যে আলকায়দা, আই এসের মত আর্ন্তজাতিক জঙ্গি সংগঠন গোপন আস্তানা গড়ে তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এস টি এফ আল কায়দার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত দুজনকে কলকাতার লাগোয়া অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করেছে। আই বির মতে বাংলাদেশের চরমপন্থী মুসিলম সংগঠন জে এম বি, নব্য জে এম বি, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম প্রভৃতিরা অসম, পশ্চিমবঙ্গের মত স্পর্শকাতর সীমান্ত রাজ্যে গোপন ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে। আইবির তথ্য মত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল স্তরের শাসকদলের একাংশ দেশের নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ করা এই চরমপন্থীদের নানাভাবে মদত দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসমে রোহিঙ্গাদের একাংশও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। নবান্নের কর্তাদের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্যও আছে। স্বাভাবিকভাবে বঙ্গ ও অসমে তাই জঙ্গি ঘাঁটি নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্র।বাংলাদেশের চলতি পরিস্তিতি ও ভারত বিরোধী চরম সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী পাকিস্তানপন্থী জামাতে ইসলামী যে ভাবে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তাতেও উদ্বেগ বাড়ছে সাউথ ব্লকের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্তাদের । সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর পাশে সেনা বাহিনীকেও সতর্ক রাখা হয়েছে। 

বাংলাদেশের চলমান হিংসা ও সরকার বিরোধী আন্দোলনের পিছনে বি এন পি-জামাতে ইসলামির মত স্বাধীনতা, মুক্তি আন্দোলন ও নিশ্চিত ভাবে ভারত বিরোধী শক্তির অতি সক্রিয়তা অনুভব করছেন নয়াদিল্লির রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তারা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মোদী নিজে জয়শংকর, অজিত ডোভালের সঙ্গে কথাও বলেছেন।সর্বদল বৈঠকেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে । যে ভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ, নির্যাতন, হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে তাতে উদ্বেগে মোদি – শাহরা । 

ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের ভারত-আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে যাকতে বাংলাদেশ থেকে জামাত ও উগ্রপন্থী শক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে তা নজরে রাখতে বি এস এফকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই চিন্তা বেশি। এখানে জামাতে ইসলামি ও বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির নানা গোপন সেল গড়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জামাত শিবিরের গোপন ঘাঁটিগুলি অপারেশন চালাচ্ছে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখার ও কেন্দ্রকে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া  হয়েছে।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে উচ্ছেদ ও পাকিস্থানপন্থী ভারত বিরোধী সরকার গড়ে তোলা বা প্রয়োজনে সেনা শাসনের রাস্তায় যেতে মরিয়া বি এন পি-জামাতে ইসলামি সহ বিভিন্ন মৌলবাদী ও পাকিস্থানপন্থী শক্তি। আপাতত মার্কিনপন্থী অর্থনীতিবিদ ডক্টর ইউনুসকে প্রধান করে পাকিস্তানপন্থীরা তদারকি সরকার গড়তে চলেছে। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে,  বাংলাদেশে হাসিনা সরকার  বিরোধী আন্দোলনের নামে গৃহযুদ্ধের পরিবেশ গড়তে চাইছে জামাত। কোটা বিরোধী আন্দোলন যে জামাতের মস্তিষ্ক প্রসূত তা মনে করছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment