নারী নিরাপত্তায় বড় ঘোষণা,চালু নারী বান্ধব রাত্তিরের সাথী প্রকল্প

 




Indiapost24 Web Desk:মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যের মহিলা কর্মচারীদের সুবিধার্থে নেয়া হলো এক বিরাট পদক্ষেপ!রাতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা ও কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফেরা মহিলাদের জন্য একান্তভাবে চালু করা হচ্ছে 'রাত্তিরের সাথী' নামে এক চমকপ্রদ প্রকল্প।



মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, একাধিক দফতরের উদ্যোগেই "রাত্তিরের সাথী" প্রকল্প!রাজ্যের তরফে কী কী নির্দেশিকা দেওয়া হল?


১) রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ,বিভিন্ন হস্টেল-সহ বিভিন্ন জায়গায় মহিলা কর্মচারীদের জন্য আলাদা শৌচালয় ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


২) মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য রাতে কর্মস্থলে রাখা হবে 'রাত্তিরের সাথী' নামে বিশেষ মহিলা স্বেচ্ছাসেবক।


৩) প্রতিটি কর্মস্থল সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা ধরে চলবে বিশেষ নজরদারি।


৪) মহিলা কর্মজীবীদের জন্য চালু করা হচ্ছে বিশেষ সঙ্কেতযুক্ত বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (মোবাইল অ্যাপ)। প্রতিটি মহিলা কর্মজীবীর ফোনে ওই মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে স্থানীয় থানার যোগাযোগ থাকবে। অর্থা‍ৎ কোনও মহিলা কর্মজীবী বিপদে পড়লে ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই সরাসরি থানায় বিশেষ বার্তা পাঠাতে পারবেন।


৫) মহিলা কর্মচারীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু হচ্ছে। আপাতত ১০০ ও ১০২ নম্বরে সাহায্য চেয়ে ফোন করতে পারবেন।


৬) জেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ গুলিতে ঢোকা প্রত্যেকেরই শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। অর্থা‍ৎ কেউ মদ্যপ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে কিনা,তা দেখা হবে।


৭) মহিলা কর্মচারীদের যৌন নির্যাসতন রুখতে প্রতিটি হাসপাতাল,মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন অফিসে বিশাখা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


৮) হাসপাতাল-মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন অফিসে মহিলাদের নৈশকালীন ডিউটি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মহিলা কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর পরিচিত কিংবা কোনও মহিলা সঙ্গিনীকে ডিউটি দেওয়া হয় তার উপরে বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে।


৯) বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্প কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


ক) প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,মহিলা হস্টেলে রাত ভর চলবে বিশেষ পুলিশ পেট্রলিং।


খ) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন থেকে চিকি‍ৎসক-সহ প্রতিটি কর্মীকে বাধ্যতামূলক ভাবে গলায় ঝোলাতে হবে সচিত্র পরিচয় পত্র।


গ) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং হাসপাতাল গুলিতে নিরাপত্তা আধিকারিক নিযুক্ত করা হচ্ছে। তাঁরাই পুরো নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়গুলি দেখবেন।


ঘ) কোনও মহিলা চিকি‍ৎসক কিংবা কর্মীকে একটানা ১২ ঘন্টার বেশি ডিউটি দেওয়া যাবে না।


ঙ) সম্ভব হলে মহিলাদের নাইট শিফট থেকে বাদ দেওয়া হবে।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment