Indiapost24 Web Desk:আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডের জেরে পদ খোয়াতে পারেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত কুমার গোয়েল। যত দিন যাচ্ছে ততই জোরাল হচ্ছে তাঁর পদত্যাগের দাবি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিকে সোচ্চার। অন্যদিকে রাজনীতিবিদদের মধ্যে থেকেও জোরাল দাবি উঠছে। বিজেপি, বাম, কংগ্রেস তো প্রথম থেকেই বিনীত কুমার গোয়েলের পদত্যাগেরস দাবি জানিয়ে আসছে। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুখেন্দুশেখবর রায়। কিন্তু বিনীত গোয়েলের পরে কে? তাই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। উঠছে তিনটি নাম। কলকাতার নগরপাল বিনীত কুমার গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে প্রথম দিন থেকেই সোরচ্চার আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায় তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে তাঁর কারিগুরিতেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আলোচনায় বিনীত কুমার গোয়েল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাঁর পদত্যাগের দাবিতে স্মারকলিপি তারই হাতে দিয়ে এসেছে। শিরদাঁড়া নেই বলে অভিযোগ তুলে প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়েই তাঁরা গিয়েছিলেন লালবাজারে। ওয়াকিবহাল মনে করেছে এটি চরম অপমানজনক। এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশের অন্দরেই গুঞ্জন সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বিনীত গোয়েলকে। ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনাতেও তিনি বলেছেন, তাঁকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তিনি হাসিমুখে তা মেনে নেবেন। বিনীতের পরে কে? কলকাতার পরবর্তী নগরপাল নিয়ে কলকাতা পুলিশের অন্দরে ঘুরছে তিন-চারটি নাম। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন আইপিএস অজয় রানাডে,উনি ১৯৯৫ সাল এর ব্যাচের আইপিএস!তার পরপর যে নামটি বার বার চর্চায় আসছে ড.রাজারাম রাজশেখবরন, বামফ্রন্ট জমানার আইপিএস। বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। ১৯৯৭ সালের ব্যাচের আইপিএস। তৃতীয় নাম হিসেবে উঠে আসছে ১৯৯৩ সালের ব্যাচের আইপিএস পীযূষ পাণ্ডে। বর্তমানে তিনি ডাইরেক্টর সিকিউরিটি , ওয়েস্ট বেঙ্গল। তিনিও বর্ধমানের এসপি ছিলেন। অবশেষে যে নামটি কিছুটা হলেও ঘুরপাক খাচ্ছে,সুপ্রতিম সরকার। তিনিও ১৯৯৭
সালের ব্যাচের আইপিএস। কলকাতা পুলিশের কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডেও একাধিকবার তাঁকে সামনে দেখা গেছে। ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের আগে ও পরে তিনি রাজ্য পুলিশের হয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তাই আরজি কর ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নবান্ন থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।
0 comments:
Post a Comment