জন্মদিনের আগেই সুখবর, কলকাতা পুলিশের নতুন সিপি মনোজ ভার্মা

 



Sri Karna,Indiapost24:সালটা ২০১৯। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর অঞ্চল তখন আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে। সেই সময় মনোজ ভার্মাকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তার সুপরিকল্পিত চিন্তাভাবনা ব্যারাকপুরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এরপর রাজ্য সরকার এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদে মনোজ ভার্মাকে বসায়। এবার তিনি হলেন কলকাতা পুলিশের নতুন নগরপাল। জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি মধ্যে অন্যতম ছিল কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েলকে অপসারিত করা। ‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিনীত গোয়েলের সরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানান। এরপর রাজ্য সরকার কর্তৃক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় কলকাতা পুলিশের নতুন সিপি হলেন মনোজ কুমার ভার্মা। ১৯৬৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজস্থানে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসেই তার জন্মদিন। জন্মদিনের আগেই মনোজ কুমার ভার্মাকে কলকাতা পুলিশের সর্বোচ্চ পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বিনীত গোয়েলকে এসটিএফ-এর এডিজি করা হয়েছে।এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন মনোজ ভার্মা। সেই জায়গায় নিয়ে আসা হলো অত্যন্ত দক্ষ অফিসার জাভেদ শামিম কে। এডিজি আইবিতে ছিলেন জাভেদ। জুনিয়র ডাক্তারদের আরও এক দাবি ছিল ডিসি নর্থ কে অপসারিত করার। দাবি মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকে সরানো হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ই এফ আর -এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার হিসাবে নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন। জ্ঞানবন্ত সিং এডিজি আইবিতে গেলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে একাধিকবার শান্তিপূর্ণ বৈঠক ভেস্তে দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। শেষ পর্যন্ত 'মিনিটস'এর শর্তকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।সেই বৈঠকেই পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা এবং একটি স্মারক লিপি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দিয়েছিলেন।পাঁচ দফা দাবি মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বদল আনা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যেও। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন ডঃ কৌস্তব নায়েক। ‌ ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা হিসাবে দেবাশীষ হালদার। দুজনকেই সেই পদ থেকে সরানো হলো। রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হলেন ডঃ স্বপন সোরেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ মহলে বড় ষড় রদবদল হলো।স্বাস্থ্য দপ্তরের ক্ষেত্রেও রদবদলে সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।


Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment