Indiapost24 Web Desk:শুধু মোদী-শাহ, গেরুয়া শিবিরই নয়, কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট, মহারাষ্ট্রে মহা আগাড়ি আতাঁতের কাছে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে নভেম্বরে সম্ভাব্য মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮ আসনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী থেকে শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেরা। অন্যদিকে বিজেপি বাস্তবে হারা ম্যাচ খেলতে নামতে চলেছে।
বিজেপি ও তার জোট সঙ্গী শিন্দের শিবসেনা, অজিত পাওয়ারের এন সি পির সংগে আসন সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। শিন্দে শিবসেনা ও এন সি পির লম্বা চওড়া আসনের দাবিতে ব্যাকফুটেই বিজেপি। রাজ ঠাকরের দল এম এন এসকে জোটে আনতে সক্রিয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু নিজেদের ক্ষমতার বাইরে লম্বা চওড়া আসনের দাবি তুলে রাজ ঠাকরেকে জোটে আনাইয় বিজেপির প্রয়াসে জোরালো ধাক্কা লাগতে চলেছে।
অন্যদিকে, শারদ পাওয়ারের চাণক্য নীতিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, এন সি পি ও উদ্ধব ঠাকরের শিবিসেনা ১৩০টি আসন বন্টনে ইতিমধ্যে সহমত হয়েছেন। মুম্বাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মহা আগাড়ি জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে, মহারাষ্ট বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা প্রত্যেকে ১০০টি করে আসনে প্রার্থী দেবে। শারদ পাওয়ারের এন সি পি ৮৪ আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি ৪ আসন আর পি আই, সি পি এম, পি ডবলু পির মত দলকে ছাড়া হবে।
মহা আগাড়ি জোট সূত্রের খবর যে, কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে ১৩০ আসন দাবি করলেও, ১০০ তে নামতে সম্মত হয়েছে। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন যে, কংগ্রেসের লক্ষ্য সহমতের জোট তৈরি করে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করা।
মহাবিকাশ আগাড়ির সূত্রে বলা হয়েছে যে, অজিত পাওয়ারের এন সি পি শেষ মুহুর্ত্যে মহাবিকাশ আগাড়িতে যোগ দিতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের হারের পর তারা মহারাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ও ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিতে উৎসাহ দিচ্ছে। কিন্তু তাদের কৌশল পরাস্ত হবে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি মহারাষ্ট্রে ওবিসি, দলিত, মুসলিম সংখ্যালঘুরা নিশ্চিত ভাবে বিজেপিকে হারাতে জোট বদ্ধ ভাবে মহাবিকাশ আগাড়ির দিকে ঝুঁকতে চলেছেন। মহা বিকাশ আগাড়ি জোট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী, সহমতের ভিত্তিতে অভিন্ন নির্বাচনী ঘোষণা পত্রেরও আলোচনা শেষ পর্য্যায়ে।
0 comments:
Post a Comment