ফের চেনা ছন্দে অনুব্রত-গড়

 


Indiapost24 Web Desk:বীরভূমের বোলপুরের নীচুপট্টি। নীল-আকাশী রঙের দোতলা বাড়ির সামনে চা ও টিফিন খাবারের দোকানের বিক্রি পর্যন্ত কমে গিয়েছিল গত আড়াই বছরে। এই বাড়ির সামনেই সকাল থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকত। তখন অনুব্রত মণ্ডলহীন বাড়ি ও আশপাশ খাঁ-খাঁ করেছে। তিনজন পুলিশ বাড়ি পাহারার দায়িত্বে থাকতেন সিফট অনুযায়ী। কিন্তু তাঁদের মুখেও কুলুপ। অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরতেই ফের শুনশান বাড়ির সামনে ভিড় থিক থিক করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অবিসংবাদী জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কখনও সাংসদ বা বিধায়ক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হননি। পুরসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হননি। রাজ্যের মন্ত্রীও হননি। আদপে সাংগঠনিক পদে থেকেই ক্ষমতা ভোগ করেছেন। শুধু বীরভূম জেলা নয়, বর্ধমান-সহ আশেপাশের অন্য জেলাগুলির ক্ষেত্রেও তাঁর মতামত গুরুত্ব পেত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দীর্ঘ সময় গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েও তাঁকে পদ থেকে সরাননি তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তৃণমূল নেত্রী এতটাই ভরসা করেন কেষ্ট মণ্ডলকে? 

পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হয়ে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র মহাসচিবের পদ বিলুপ্ত হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি হওয়ার পর। তিনি দলের প্রথম মহাসচিব, এখনও পর্যন্ত তিনিই শেষ মহাসচিব। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের জেলা সভাপতির পদ কখনও টলমল করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি গঠন করার পরও বলেছিলেন তিনি নিজে দেখবেন বীরভূমের সংগঠন। জামিনের খবরেই বীরভূমের 'বাঘ' বলে সম্বোধন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।

এর আগে তিনি বলেছিলেন "বাঘকে খাঁচায় বেশি দিন বন্দি রাখতে পারবে না"। কিন্তু বাঘ প্রশ্নে অনুব্রত বিতর্কে জড়াবেন না বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে অনুব্রতর জামিন প্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তবে অনুব্রত জামিন পেলেও যে পুরোপুরি গরু পাচার কাণ্ডে মুক্ত হয়ে যাবেন এমন মনে করছে না বিজেপি নেতৃত্ব।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment