বিতর্ক উসকে দিয়ে অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে চাইলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন করীর

 


Indiapost24 Web Desk:আরো একবার বিতর্ক উসকে অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে চাইলেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক হুমায়ুন করীর। এদিন বিধানসভা এসে অভিষেককে প্রশাসনে অংশ করার দাবি তুলে আরো একবার বিতর্ক উসকে দিলেন তিনি। এদিন তিনি বলেছেন, এখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য প্রশাসনে অভিষেক হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে তাঁর দাবি, অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হোক। তিনি মনে করছেন, এখনই অভিষেককে এই দায়িত্ব দেওয়া হলে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর থেকে লোড কমবে বা ভার লাঘব হবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন। আর এই তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যে আরও একবার অভিষেককে প্রশাসনে আনা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে তৈরি হল। 

প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩৭ তম জন্মদিনের আগেই তাকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। একই বক্তব্য তারও কয়েকদিন আগে বিজয় সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে শোনা গিয়েছিল কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজের গলায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরো একটি নাম,   ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের এ ধরনের মন্তব্য এই প্রথম নয়।সপ্তাহখানেক আগেই তিনি বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁকে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব দিলে রাজ্যের ভালো হবে। সোমবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল আরো একবার। 

তিনি বললেন, রাজ্যের মন্ত্রিসভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলুক। আগামী নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আমরা লড়াই করব। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চতুর্থ বারের জন্য আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হোন। তবে তার ডেপুটি হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে আসা হোক। সেই সঙ্গে তাকে পুলিশ মন্ত্রী করা হোক। বলছেন হুমায়ুন। 

এমন একটা সময় তিনি এই দাবি জানাচ্ছেন, যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলারের ওপর বন্দুকবাজের হামলা নিয়ে। দলের দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম সৌগত রায়ের মত বর্ষিয়ানরাও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ঠিক তখন, ভরতপুরের বিধায়কের এই দাবী-ভীষণভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বলছে রাজনৈতিক মহল।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment