Indiapost24 Web Desk:তামাম আন্দোলন গড়ে তুলতে এবারে বঙ্গ বিজেপির ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।আর জি কর কান্ড নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থতার কারণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। রাজ্য বিজেপির নেতারা আর জি কর ইস্যুতে ধারাবাহিক আন্দোলণ গড়ে তুলতে ব্যর্থ বলেই মনে করছেন দলের পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। কিছু নেতার ব্যক্তিগত আত্মপ্রচার ও টোকেন অবরোধ, মিছিল বাদে বিজেপি এই বড় ইস্যুতে কোনও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকাই গড়ে তুলতে পারেনি বলেই মনে করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এতে পশ্চিমবঙ্গে বামেরা রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছে।
তাই আর জি কর হাসপাতাল কান্ডে আত্মপ্রচার, টোকেন প্রচার ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি ধর্ণা, আন্দোলন, মিটিং, মিছিলের পাশে সাধারণ নাগরিক আন্দোলনেও পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্যে কাগজ কলমে মূল বিরোধী শক্তি হলেও বিজেপি এখনও পর্য্যন্ত আর জি কর কান্ডে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন নি। উল্টে বাম-অতি বামপন্থী রাজনৈতিক দল, গণ সংগঠনগুলি আর জি কর ইস্যুতে অনেক সক্রিয় বলেই মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের তরফে পশ্চিমবঙ্গের দুই পর্যবেক্ষক সুনীল বানশল ও মঙ্গল পান্ডে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে রাজ্য বিজেপির ধারাবাহিক ব্যর্থতায় উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ। উপনির্বাচনেও হাল ছেড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির পরিষদীয় দল কিন্তু ধর্ণা, মিছিল করলেও সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের যে সেভাবে মাঠে নামাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি তা নিয়ে কার্যত ক্ষোভই ব্যক্ত করেছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বানশাল। এতে দলে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব আরো তীব্র হতে চলেছে।
এদিকে বিজেপির অন্দরে আর জি কর কান্ডে নিহত তরুণী চিকিতসকের বাবা-মাকে সমবেদনা বার্তা, ব্যক্তিগতভাবে কেন টেলিফোন করলেন না মোদী-শাহরা তা নিয়ে বিস্ময় তৈরি হয়েছে। মোদী, শাহরা সরাসরি তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মাকে বার্তা পাঠালে তার একটা বড় প্রভাব পড়ত বলেই মনে করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে চাপ দেওয়া হলেও বিজেপি সাংগঠনিক অদক্ষতা ও ব্যর্থতার কারণে যে আন্দোলনে সামনের সারিতে আসতে পারছেন না একান্তে কবুল করেছেন বিজেপির অন্দর মহলের বহু শীর্ষ নেতা-সামনের সারির কর্মীরা।
আর জি কর কান্ডে নাগরিক আন্দোলন সুকৌশলে নিয়ন্ত্রণ নেয় বাম-অতি বামেরা। নাগরিক আন্দোলনে প্রবেশ নিষেধ ছিল বিজেপি-আর এস এস গেরুয়া শিবিরের। বাম-অতি বাম অতি সক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ ছিলেন চিকিৎসক এমন কি জুনিয়ার ডাক্তারদের একাংশ। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর যেভাবে আন্দোলনকারীরা আত্মসমর্পন করেন তাতে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের একাংশ। বিজেপি-আর এস এসও জুনিয়ার ডাক্তার আন্দোলনকারী নেতা-নেত্রী এস ইউ সি, লিবারেশন, সি পি এম এমন কি শহরের নকশালদের আত্মসমর্পনকারি ভূমিকা নিয়ে এবার প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরে চলমান আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীবাজিতে হতাশ। সন্দেশখালির পর আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকান্ডে আন্দোলন গড়ে তুলতে বা নাগরিক আন্দোলনে ঢুকে তা নিয়ন্ত্রণে নিতে যে গেরুয়া শিবির ব্যর্থ তা নিয়ে নিশ্চিত।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাপ বাড়ালেও গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গে তেমন সক্রিয় হইয়ে উঠতে পারছে না। এতে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ওয়ার্ম আপ করার ক্ষেত্রে তারা পিছিয়েই পড়ছে।
0 comments:
Post a Comment