প্রশাসনে অভিষেক পালার ভাবনা শুরু

 


Indiapost24 Web Desk:পশ্চিমবঙ্গে আগে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে চাইছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন মত বিনিময় করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বস্তুত ২৫ শের ২১ শে জুলাই কলকাতায় শহীদ স্মরণ দিবসে বিশাল গণ সমাবেশ কার্যত ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের বিউগেল বাজাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে রুখতে বাম অতিবাম শিবিরের তৃনমূল স্তরের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের নিজেদের দিকে টানার পাশে মুসলিম সখ্যালঘু ভোট সবটাই পেতে চায় তৃণমূল।

ঐদিকে দলের অন্দরে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে জোরালো জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলের ইন সাইডারদের বক্তব্য যে, ২৬ শে তো বটেই, ২০৩১ এর পশ্চম্বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে শুধু সেকেন্ড ইন কম্যান্ড করাই নয়, সরকারের সেকেন্ড অন কম্যান্ড করার ভাবনা শুরু হয়েছে। ২৬ –এর নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের জল্পনা তুঙ্গে। অভিষেক বমদ্যোপাধ্যায় কে সাধারম দপ্তর দিয়ে মন্ত্রী করা না সরাসরি সরাসরি দলের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে আনা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

দলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়, দলের প্রধান মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সহ কয়েকজন ইতিমধ্যে ইংগিত পূর্ণ বিবৃতি দেওয়া শুরু করেছেন। এদিকে বিদেশে চোখের চিকিৎসা সার্জারির পরে দেশে ফিরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলা পুর এলাকায় পারফরমেনসের বিচারে নেতৃত্বের পরিবর্তন ও নতুন তরুন প্রজন্মকে সামনে আনার লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে চুলচেরা বিচার শুরু হয়ে গেছে।

২৬ এর আগে অথবা পরে কোন সময়ে অভিষেকবন্দ্যোপাধ্যায় মমতা প্রশাসনের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের দায়িত্ব নেবেন তার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে দল তাতে সিলমোহর দেবে। এদিকে অভিষেকের সাফ কথা নেতৃত্ব বা নেত্রীর প্রতি আনুগত্যে দলীয় নেতৃত্ব গঠিত হবে না। সাংগঠনিক পারফরমেন্স রাজনৈতিক দূরদর্শিতা জন সমর্থনের ভিত্তিতেই তৃণমূল নেতৃত্ব গঠিত হবে। যে সব নেতারা ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে নাশকতা করে বিজেপির হয়ে কাজ করেছএন তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে অপসারণ করা হোক বলেই তাঁর অভিমত। অভিষেকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠকে তাঁর নানা সাংগঠনিক প্রস্তাব যে সিলমোহর পড়বে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে অনুব্রত মন্ডলের ক্ষমতা হ্রাসের ইংগিত মিলেছে।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment