Indiapost24 Web Desk:ফের জনগণনা শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সাল থেকে স্থগিত হয়ে রয়েছে জনগণনা কর্মসূচি।
২০২৫ সালের মধ্যেই জনগণনা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যদিও ইন্ডিয়া জোটের দাবি মেনে জাতি গণনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি মোদী সরকার। তবে ধর্মীয় জন গণনায় জোর দিতে উপধর্ম গুলিকেও তালিকা ভুক্ত করা হতে পারে।
জনগণনা শুরুর আগেই পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবির রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমা ও মুসলিম সংখ্যাবৃদ্ধির দাবি করে সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি আরএসএসের প্রচারে বলা হয়েছে ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের সময় মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬ শতাংশ ও হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮২ শতাংশ ও বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানদের জনসংখ্যা ছিল ২ শতাংশ। কিন্তু এবারের জনগণনার পর পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা চিত্রের পরিবর্তন ও মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের মত হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে7 পশ্চিমবঙ্গে। শুভেন্দুর দাবি, দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম প্রধান জেলা ছিল মালদহ , মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম দিনাজপুর। পরে পশ্চিম দিনাজপুর ভাগ হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিন ২৪ পরগণা, বীরভূম নদীয়া হুগলী পূর্ব বর্ধমান জেলায় দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা এতে বিপন্নতা বাড়ছে সনাতনী হিন্দুদের।
তাঁর কথায়, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা ও অন্য অনুপ্রবেশের কারণেই এই ছবি। দেশভাগের সময় সাবেক পূর্ব পাকিস্থান বর্তমানে বাংলাদেশে ২২ শতাংশ হিন্দু ছিলেন । বৌদ্ধ খ্রীেষষ্টানরা ছিল ২ শতাংশ। মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৭৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ৭ শতাংশও হিন্দু নেই। প্রায় ১৫ শতাংশ হিন্দু এখন মিসিং পপুলেশনের খাতায়।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে আগামী জন গণনার পর মুসলিম জনসংখ্যা ৩৮ -৩৯ শতাংশ হতে চলেছে বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে মুসলিম দাপট বাড়বে তা নিয়ে নিশ্চিত বিরোধী দলনেতা। শুধু তিনি নন, পশ্চিমবঙ্গে ধারাবাহিকভাবে জন সংখ্যা চিত্রের পরিবর্তনের ঘটনায় হিন্দুদের প্রাধান্য কমছে বলে মনে করছেন আরএসএস নেতারাও। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশের ছবি ফুটে উঠবে বলে মনে করছে একাংশ
রাজ্যে তাই ২৬- এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রত্যক্ষ মদতে আরও সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির খেলায় বিজেপি নামতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
।শুভেন্দু অধিকারীর ত্বত্ত, হিন্দুরা ঐক্য বদ্ধ ভাবে বিজেপির পাশে না দাঁড়ালে পশ্চিমবঙ্গে বড় বিপদের সম্মুখীন হবে। তাঁর ধারণা, ২৬ এর নির্বাচনে বাম ও অতি বামপন্থীরা হিন্দু ভোটের বিভাজন ঘটিয়ে গোপনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরতে মদত দেওয়ার রাজনীতিতে নামেন। জুনিয়র ডাক্তার ও নাগরিক সমাজের আন্দোলনের নামে সিপিএম,সিপিআই, সিপিআই এম এল – লিবারেশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেফ রাজনৈতিক প্যাসেজ দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে, যেভাবে আরএসএসের সমর্থনে যোগী আদিত্যনাথ হিন্দি বলয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উত্তর পূর্বে বিজেপির হিন্দুত্বের মুখ হয়ে উঠেছেন, সে ভাবেই মুসলিম বিরোধিতা ও ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিকে উস্কে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সসদীয় রাজনীতিতে উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতির মুখ হতে চাইছেন।
২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মেরুকরণের ও মুসলিম বিরোধিতাকে সামনে রেখে ধর্মীয় বিভাজনের রাস্তা বেছে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
0 comments:
Post a Comment