Indiapost24 Web Desk:নৈহাটির বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান। আর এই অরাজনৈতিক তিন ফুটবল ক্লাবের বড় কর্তাদের ছাড়াও শাসকদলের প্রার্থীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন এআইএফএ-র সচিবও। আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর দলীয় প্রার্থীকে সমর্থনেক প্রশ্নে কিন্তু ভিন্ন মত পোষন করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
তিন প্রধানের শীর্ষ কর্তাদের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘যদি কেউ ক্রীড়া সংগঠক হন, তাঁর হয়ে যদি খেলোয়াড় বা খেলার অনুগামীরা বলেন যে ভাল ক্রীড়া সংগঠক, এর মধ্যে কী আছে ? এআইএফএ-র কল্যাণ চৌবে দাঁড়ালে কোনো অসুবিধা নেই, তাহলে তাঁকে তো আগে সাসপেন্ড করে দেওয়া উচিত এআইএফএ থেকে।’’ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার কল্যাণ চৌবে বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। যিনি আবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিতেও সক্রিয় রয়েছে। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে পদ্ম প্রতীকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। এ ছাড়াও, ২০২১ বিধানসভা ভোটে এবং ২০২৪ সালের উপনির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। তাই সনৎকে কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধানের সমর্থন দেওয়াকে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করেছেন মেয়র।
তবে ভিন্ন মত পোষন করে ডেপুটি মেয়র অতীন বলেছেন, ‘‘তাঁরা ব্যক্তিগতভাবেই সমর্থন করেছেন। যেহেতু ফুটবল জগতের লোক, ফুটবল জগতে সহযোগিতা করেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে অনেক সময় সহযোগিতা করতে হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেছেন।’’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কখনওই মোহনবাগান ক্লাবের সম্পাদক হিসাবে দেবাশিস দত্ত একক ভাবে ক্লাবের পক্ষ থেকে সমর্থন করতে পারেন না। তিনি বলেছেন, যে যখন আমরা নৈহাটিতে খেলতে যাই, তখন সনৎ আমাদের সাহায্য করেন। আর শতর্বষ প্রাচীন ক্লাব যদি কোনও সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে বৈঠকে ডেকে সর্বসম্মতিক্রমেই তা ঘোষণা করত। যেহেতু দলমত নির্বিশেষে সকলে ক্লাবকে সমর্থন করেন, ভালবাসার জায়গাটা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সেখানে কখনওই ক্লাব থেকে সমর্থন হতে পারে না। এ ক্ষেত্রেও মোহনবাগান নয়, দেবাশিস ব্যক্তিগত ভাবেই সমর্থন দিয়েছেন বলেই মনে করি।’’
প্রসঙ্গত এর আগেও, কলকাতা ময়দানের ফুটবলার তথা ফুটবল ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর হয়ে ভোটে প্রচার করলেও, একসঙ্গে একজন প্রার্থীকে সমর্থনের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করেছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।
0 comments:
Post a Comment