Indiapost24 Webdesk:শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন তদারকি সরকারের ঘটনাবলিতে উদ্বেগ বেড়েছে প্রতিবেশী দেশে। বিশেষ করে এ দেশের পশ্চিমবঙ্গে পড়েছে এর প্রভাব। এ ছাড়াও উত্তর-পুর্বের রাজ্য অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামেও পড়েছে যথেষ্ট প্রভাব। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে যেভাবে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী শিবির এই রাজ্যেও ধর্মীয় বিভাজন ও হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি মেরুকরণের রাস্তায় নেমেছেন তার প্রতি প্রতি নজরদারি রাখছে নবান্নের প্রশাসনিক কর্তারা। পাশাপাশি, জেলায় জেলায় কঠোর নজরদারি শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্বও । বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কোনমতেই যে পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় বিভাজন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতিকে বরদাস্ত করা হবে না, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এবার রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতারা। বিজেপি সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় কলকাতার সমাবেশে যে ভাবে দলের মুসলিম সমর্থকরা অংশ নিয়েছেন তাকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। মুসলিম নেতারাও বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী শিবিরের অপচেষ্টা নিয়ে সতর্ক রয়েছেন।
বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে রাজ্যে যে স্পর্শকাতর পরিস্থিতি ও হিন্দু আবেগ তৈরি হয়েছে তাকেও লক্ষ্য রেখে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সতর্ক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক মৈত্রী ও সদ্ভাব বজায় রাখতেও দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সীমান্ত জেলা গুলির জন প্রতিনিধি ও জেলা নেতৃত্বকে পর পর নির্দেশ দিয়ে চলেছে দল। হিন্দু আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি- আর এস এস এই রাজ্যে যাতে রাজনৈতিক লাভ ওঠাতে না পারে সেদিকেও তৃণমূল নেতৃত্ব সতর্ক। রণকৌশল তৈরি করে প্রতিটি ধাপ এগোচ্ছে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
0 comments:
Post a Comment